সমাস কাকে বলে? প্রকারভেদ ও উদাহরণ
সমাস হলো দুটি বা ততোধিক পদ মিলিয়ে একটি নতুন পদ গঠনের নিয়ম। সমাসের ফলে বাক্যে শব্দের সংখ্যা কমে যায় কিন্তু অর্থ অপরিবর্তিত থাকে। সহজভাবে বললে, দুটি বা ততোধিক শব্দ একত্রে মিলিয়ে একটি নতুন অর্থ প্রকাশ করলে তাকে সমাস বলে।
সমাসের সংজ্ঞা:
যখন দুটি বা ততোধিক পদ (শব্দ) একত্রে মিশে একটি পদে পরিণত হয় এবং নতুন অর্থ গঠন করে, তখন তাকে সমাস বলে।
সমাসের বৈশিষ্ট্য:
- সমাসে শব্দসংখ্যা কমে যায়।
- নতুন একটি শব্দ বা পদ গঠিত হয়।
- সাধারণত সমাসে বিভক্তি (যেমন: এর, কে, থেকে) থাকে না।
সমাসের প্রকারভেদ:
বাংলা ভাষায় প্রধানত চার প্রকার সমাস দেখা যায়:
- দ্বন্দ্ব সমাস: যখন দুটি বা ততোধিক শব্দ সমান গুরুত্ব নিয়ে মিলিত হয়।
উদাহরণ: মা-বাবা, রাম-লক্ষ্মণ - তৎপুরুষ সমাস: যখন পরের পদ প্রধান এবং আগের পদ তার নির্ণায়ক।
উদাহরণ: রাজপুত্র (রাজের পুত্র), জলপান (জলের পান) - কর্মধারয় সমাস: যখন দুটি শব্দের মধ্যে একটিকে অন্যটির বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ: লোহপাথর (লোহার পাথর), সাদা কাগজ - বাহুব্রীহি সমাস: সমাসবদ্ধ শব্দগুলো যার নির্দেশ করে সে পদ বাহিরে থাকে।
উদাহরণ: পীতাম্বর (যার আম্বর পীত বা হলুদ), চক্রপাণি (যার হাতে চক্র আছে)
উপসংহার:
সমাস ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং বাক্যে সংক্ষিপ্ততা আনে। এটি ব্যাকরণ শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদের উচিত প্রতিটি সমাসের রূপ ও অর্থ ভালোভাবে অনুশীলন করা।
এই শিক্ষামূলক পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না!
No comments:
Post a Comment