বাক্য গঠন
বাক্য কাকে বলে?
যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে, তাকে বাক্য বলে। একটি বাক্যে সাধারণত একটি কর্তা, একটি ক্রিয়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদ থাকে যা মিলে একটি পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে।
উদাহরণ:
১। আমি স্কুলে যাই।
২। পাখি উড়ে গেছে।
৩। তারা ক্রিকেট খেলছে।
বাক্যের বৈশিষ্ট্য:
- পূর্ণার্থ প্রকাশ করে
- নিয়ম অনুযায়ী শব্দ গঠিত হয়
- কর্তা ও ক্রিয়া থাকে
- বাক্যের শুরুতে অক্ষর বড় এবং শেষে বিরামচিহ্ন থাকে
বাক্যের উপাদান:
একটি বাক্য গঠনের জন্য নিচের উপাদানগুলো প্রয়োজন:
- কর্তা: যে কাজটি করে বা যার বিষয়ে বলা হয়
- ক্রিয়া: কর্তার কাজ বা অবস্থা নির্দেশ করে
- কর্ম, কালে, অব্যয়, বিশেষণ ইত্যাদি বাক্যের বিভিন্ন পদ
উদাহরণ বিশ্লেষণ:
বাক্য: "রাহুল বই পড়ছে।"
➤ কর্তা: রাহুল
➤ ক্রিয়া: পড়ছে
➤ কর্ম: বই
বাক্যের প্রকারভেদ:
বাংলা ভাষায় অর্থ ও রূপভিত্তিকভাবে বাক্যকে প্রধানত তিনভাবে ভাগ করা যায়:
১. অর্থভিত্তিক প্রকারভেদ:
- বর্ণনামূলক বাক্য: যে বাক্যে কোনো ঘটনা বা অবস্থা বর্ণনা করা হয়।
উদাহরণ: সে গান গায়। - প্রশ্নবোধক বাক্য: যে বাক্যে প্রশ্ন করা হয়।
উদাহরণ: তুমি কোথায় যাচ্ছ? - আদেশবাচক বাক্য: যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ বা অনুরোধ করা হয়।
উদাহরণ: এখানে বসো। - বিস্ময়সূচক বাক্য: যে বাক্যে আশ্চর্য, আনন্দ বা দুঃখ প্রকাশ পায়।
উদাহরণ: আহা! কী সুন্দর দৃশ্য!
২. গঠনভিত্তিক প্রকারভেদ:
- সরল বাক্য: একটি মাত্র কর্তা ও ক্রিয়া নিয়ে গঠিত।
উদাহরণ: আমি খাই। - যৌগিক বাক্য: দুটি বা ততোধিক সরল বাক্য সংযোজক দ্বারা যুক্ত হয়ে গঠিত।
উদাহরণ: আমি পড়ি এবং সে লেখে। - মিশ্র বাক্য: প্রধান ও অনুসর্গ বাক্যের সমন্বয়ে গঠিত।
উদাহরণ: আমি জানি যে তুমি আসবে।
উপসংহার:
বাক্য গঠন হলো ভাষার মূল ভিত্তি। বাক্য ছাড়া ভাষার সঠিক ব্যবহার অসম্পূর্ণ। তাই বাংলা ভাষায় দক্ষ হতে হলে বাক্যের গঠন ও প্রকার ভালোভাবে জানা দরকার।
এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং মন্তব্যে আপনার মতামত জানান!